স্তন ক্যান্সার: জানুন অবাক করা কিছু তথ্য
স্তন ক্যান্সার
স্তন ক্যান্সার কি
স্তনের কোষগুলোর
অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সাধারনত স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে। সব ধরনের ক্যান্সারই
সাধারনত এই কারণেই হয়ে থাকে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ত্বকের
ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির চেয়ে একটু কম। কিন্তু বাংলাদেশের ১৫-৪৪ বছরের
মহিলাদের মধ্যে এক লক্ষ জনের মধ্যে ১৯.৩ জনই এই রোগে আক্রান্ত। সারা
পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ এই ক্যান্সারে আক্রান্ত। দিন দিন এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
আশ্চর্যজনক হলেও
সত্যি, স্তন ক্যান্সার শুধু মহিলাদেরই হয় না, পুরুষরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
তবে, পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত
ব্যক্তিদের মধ্যে ০.১ শতাংশ পুরুষ, বাকি সব মহিলা। তো স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় যে
মহিলাদের জন্য এটি একটি ভয়াবহ ব্যধি।
স্তন ক্যান্সারের কারণ
এই ব্যধি হওয়ার সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে স্তনের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া। তখন স্তনের কোষগুলো
অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাধারন কোষগুলো যে গতিতে বংশ বিস্তার করে, তার
থেকে অনেক দ্রুত ক্যান্সার কোষগুলো বংশ বিস্তার করে। ক্যান্সার কোষগুলো দুধ
উতপাদনকৃত নালির মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে।
স্তনের আশেপাশে যেসব
গ্রন্থি রয়েছে সেসব গ্রন্থি থেকে স্তন ক্যান্সার কোষ উৎপন্ন হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা
এও দেখেছেন যে, হরমোনগত কারনে, বংশগত কারনে, এমনকি পরিবেশের কারনেও এই ধরণের ক্যান্সার
হতে পারে। কিছু রিস্ক ফেক্টর আছে যেগুলোর কারনে স্তনে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা
অনেক বেড়ে যায়।
তবে অনেকের ক্ষেত্রে
রিস্ক ফেক্টর গুলো থাকার পরেও দেখা যায় তার স্তন ক্যান্সার হয়না। আবার অনেকের কোনো
ধরনের সমস্যা না থাকার ফলেও এই ব্যধি হয়ে যায়। তাই স্তনে ক্যান্সারের কারন এখনও স্পষ্ট নয়।
রিস্ক ফেক্টর
অনেক ধরনের রিস্ক
ফেক্টর রয়েছে। তবে সাধারনত যেসব জিনিস আপনার মধ্যে থাকলে এই রোগটি হতে পারে
সেগুলোর মধ্যে কিছু এমনঃ
১. আপনি যদি মহিলা
হন।
২. আপনার বয়স বৃদ্ধি
হলে।
৩. স্তন নিয়ে আপনার
অতীতে কোনো সমস্যা থাকলে।
৪. আপনার বংশগত কোনো
সমস্যা থাকলে এই ব্যাপারে।
৫. বয়স হওয়ার পর
সন্তান হলে অথবা সন্তান না হলে।
৬. মদ বা নেশা জাতীয়
জিনিস খেলে।
৭. শরীরের ওজন
অতিরিক্ত হলে।
প্রতিরোধ
আপনার মধ্যেও যদি
উপরের ফেক্টরগুলো থেকে থাকে, তাহলে আপনারকে সচেতন হতে হবে। আপনার দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আপনার এই
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। যেমনঃ
১. কোনো ধরনের
সন্দেহ দেখা দিলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন।
২. নিজের স্তনের
প্রতি যত্নশীল হোন।
৩. মদ বা নেশা জাতীয়
দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকুন।
৪. প্রতিদিন হালকা
ব্যায়াম করুন।
৫. শরীরের ওজন
কমানোর চেষ্টা করুন।
৬. খাবারের ব্যাপারে
সচেতন হোন।
৭. ব্রা বা
বক্ষবন্ধনী ব্যবহারে সচেতন হোন। ২৪ ঘন্টা বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করবে না। রাতে বক্ষবন্ধনী
ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
স্তন ক্যান্সারের প্রকারভেদ
স্তনের ক্যান্সারকে
সাধারনত দুইভাগে ভাগ করা যায়।
১.Invansive
২.Non-invansive
এই দুই প্রকারের মধ্যে আরো কিছু প্রকারভেদ আছে।
যেমনঃ
১. Ductal
Carcinoma in SITU (প্রতিকারযোগ্য)
২. Lobular
Carcinoma (প্রতিকারযোগ্য)
৩. Man’s Breast
Cancer (প্রতিকারযোগ্য)
৪. Inflamatory
Breast Cancer (দ্রুত বৃদ্ধিপায়)
৫. Metastatic
Breast Cancer (মৃত্যু অনিবার্য)
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ
স্তন ক্যান্সারের
লক্ষণগুলো সাধারনত বোঝা যায় না। তারপর কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দ্বারা স্তনে যে ক্যান্সারের আবির্ভাব হচ্ছে তার আবাস পাওয়া যায়।
১. হঠাৎ স্তনের আকার
পরিবর্তন হওয়া।
২. স্তনের ত্বকের
মধ্যে কোনো প্রকারের পরিবর্তন দেখা দেওয়া।
৩. স্তনের কোথাও টোল
পরা।
৪. কোনো স্তনবৃন্ত
বিপর্যস্ত হওয়া।
৫. স্তনবৃন্তের
আশেপাশে ছিদ্র বা আচ পরে যাওয়া।
৬. স্তনের রঙ
পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি।
প্রতিকার
১. যথাসম্ভব
ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া।
২. ঠিকমত ঔষধ খাওয়া।
৩. পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন থাকা।
৪. ডাক্তারের
পরামর্শ মোতাবেক চলা।
শরীরের ওপর স্তন ক্যান্সারের প্রভাব
১. চুল পড়া।
২. মাসিক পরিবর্তন।
৩. হাড়ের জোড়ায়
ব্যাথা।
৪. ওজন বৃদ্ধি
পাওয়া।
৫. বন্ধ্যাত্ত।
৬. গেজ হওয়া।
৭. মস্তিষ্কের
ক্ষতি।
৮. হৃদপেশীর ক্ষতি
ইত্যাদি।
Lucky Club Casino site: Play with £10 free bonus | Lucky Club
ReplyDeleteThe Lucky Club Casino offers an eclectic range of slots and table games with great odds. There are a luckyclub.live variety of slots, jackpots, blackjack and