মানসিক চাপ দূরীকরনের উপায়ঃ ৬ টি মজাদার উপায়
মানসিক চাপ দূরীকরনের উপায়
আমাদের জীবনের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য আবার দুই প্রকার। একটা মানসিক স্বাস্থ্য আর অপরটি হচ্ছে শারীরিক স্বাস্থ্য। আমাদেরকে দৈনন্দিন অনেক কাজ করতে হয়। যার ফলে আমাদের উপর প্রচন্ড মানসিক চাপ পরে। তাই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ও দরকার। তাই আজ আমরা জানব মানসিক চাপ দূরীকরনের সহজ ও মজাদার ৬ টি উপায় যার মাধ্যমে ৫ মিনিটে আপনার মানসিক চাপ দূর হয়ে যাবে।আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন
ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর তাই না? কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আপনি যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন তখন আপনার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোটা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। আসুন একটা গল্প বলি আপনাদের।
এক ব্যক্তির তালাক হয়েছে। এখন স্বভাবতই সে মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্থ। কিন্তু তার আশেপাশের মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি হয়ে পরেছিল। এবং এরই মধ্যে সে ধুমপান করা শুরু করে দিয়েছিল। তাই সে কি করল? তার মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। সে এই ফর্মূলাটা ব্যবহার করল। সে তার মোবাইলের পাসওয়ার্ডটা পরিবর্তন করে দিয়ে দিলো Forgive@h3r । এর পরের পাসওয়ার্ডটা ছিল Quit@smoking4ever । এইভাবে সে তার মানসিক চাপ এবং খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছিল।তাই আপনারাও কখনো মানসিক চাপে পরলে এবং সেটা আপনার পিছু না ছাড়লে আপনি এই উপায়টি ফলো করতে পারেন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
প্রতিদিন কোলাকোলি করুন
কোলাকোলি বা আলিঙ্গন যাই বলেন না কেনো, এটা কিন্তু খুবই উপকারী দেহের জন্য। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে যে দিনে ৮ বার কারো না কারো সাথে কোলাকোলি করলে এটি মনকে শান্ত রাখে। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে আলিঙ্গন করতে পারেন। কাজে যাওয়ার আগে মা বা বাবার সাথে করতে পারেন। যাদের বাবা মা নেই তারা বুঝবে আসলে এটি কতটা কার্যকরী মানুষের মনের জন্য। আলিঙ্গন করলে মনের মধ্যেও ওই ব্যক্তিটার জন্য মায়া ও ভালোবাসা জম্মায়। আর এটি আপনার মানসিক চাপ দূরীকরনে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।গৃহপালিত পশু পালন করেন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নিজেকে একটা সময় একা ভাবতে শুরু করেন। আর আস্তে আস্তে তাদের এই ভাবনাটা তাদের জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আসলে মানুষের মানসিক অসুস্থতার শুরু এই একাকিত্ত থেকে। যদি আপনি একাকী থাকতে পছন্দ করেন তাহলে সেটা অন্য ব্যাপার। কারন, মনীষীদের জীবনী পড়লে দেখা যায় যে তারা বেশিরভাগ সময়ই একা থাকতেন। কিন্তু কেউ যদি অনিচ্চায় একা হয়ে পরে তখন তার জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পরে ব্যাপারটা। তাই আপনি যখন কোনো প্রাণি লালন-পালন করবেন তখন আপনার একাকিত্ত তারাই দূর করে দিবে। তাদের মায়াবী আচরণ, তাদের অমায়িক ভালোবাসা, তাদের নিস্পাপ কার্যকলাপ আপনার সকল একাকিত্ত ও কষ্ট এক নিমিষেই দূর করে দেবে। তাই আজ থেকেই গৃহপালিত পশু পালন করতে শুরু করুন। এতে আপনার পশু-পাখির প্রতি ও ভালোবাসা জম্মাবে।সবসময় পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা করবেন
এটা নিয়ে আসলে বলার কিছু নাই। কারন পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা আমাদের জন্য কতটুকু গুরুত্তপূর্ন তা মোটামোটি সবাই জানে। কিন্তু সবাই তা মেনে চলতে পারেনা। আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই স্বভাব রয়েছে যে কিছু হলেই আমরা চিন্তিত হয়ে যাই। কিন্তু আমরা যদি আমাদের চিন্তা-ভাবনাটা একটু নিয়ন্ত্রনে আনতে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক চাপ অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে।সবসময় হাসি মুখ থাকেন
সবসময় হাসেন, কিন্তু অকাত্তচিত্তে নয়। কারো সাথে দেখা হলে তাকে হাসিমুখে সম্বোধন করেন। কারণ এতে করে ওই মানুষটার আপনার প্রতি একটা ভালো ভাবনা সৃষ্টি হবে। আমরা দেখি আমাদের সমাজে যারা সবসময় হাসি খুশি থাকে তাদেরকে কখনো চিন্তিত লাগেনা। এর কারণ হচ্ছে হাসি খুশি থাকার ফলে আমাদের শরীর যে হরমোন নিঃসৃত করে তা আমাদের পীড়ন, ব্যকুলতা ও রাগকে কমাতে সাহায্য করে। এতে করে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। তাই যথাসম্ভব হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করবেন।মাইন্ড গেইম খেলেন
এখানে মাইন্ডগেইম বলতে ভিডিও গেইমের কথা বোঝানো হয়েছে। মাইন্ড গেইম খেলার ফলে আপনার বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে। সাধারনত মাইন্ড গেইম গুলো একটু বুঝে শুনে খেলতে হয়। কারন এইসব গেইমের প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে নতুন নতুন জিনিস যুক্ত হয়। তাই সবসময় নতুন নতুন কৌশল বাহির করে খেলতে হয়। আপনার মাইন্ড যখন নতুন নতুন জিনিস নিয়ে ভাববে তখন আপনার মস্তিষ্কে নতুন নতুন নিউরনের আবিষ্কার হবে। যার ফলে আপনার বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটবে এবং এটি আপনাকে একজন চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে ঘরে তুলবে।উপরে বর্নিত উপায়গুলো পরীক্ষিত। তাই এইগুলো আপনার মানসিক চাপ দূরীকরনের অনেক সাহায্য করবে। তবে প্রতিটা উপায় যে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়। ভিন্ন মানুষের জন্য ভিন্ন পদক্ষেপ কাজ করবে। তাই আপনি দেখে নিন কোনটা আপনার জন্য কার্যকরী।
No comments